My-project

সাম্প্রতিক লেখা

বিতর্কের বিষয়ঃ নারীর কাজ ঘর সামলানো আর পুরুষের কাজ রাষ্ট্র পরিচালনা


নারীর কাজ ঘর সামলানো আর পুরুষের কাজ রাষ্ট্র পরিচালনা 


আমি প্রথমেই শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করছি মাননীয় প্রধান অতিথি জনাব, - - - - - - –  – - - – । উপস্থিত আছেন সম্মানিত বিচারক মন্ডলী এবং আমার সহপাঠী ভাই ও বোনেরা। নারীরা যখন আকাশ জয় করেছে, যখন সফলতার সাথে রাষ্ট্র পরিচালনা করছেন এমন এক সময়ে দাঁড়িয়ে “নারীর কাজ ঘর সামলানো আর পুরুষের কাজ রাষ্ট্র পরিচালনা” এর পক্ষে কথা বলছি আমি।


১) মাননীয় স্পীকার, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর এক সমীক্ষায় দেখা গেছে ঘরের কাজে পুরুষদের তুলনায় নারীরা ৮ গুণের বেশি সময় দেন, এই যখন অবস্থা তখনতো আমাকে নারীর ঘর সামলানোর পক্ষে কথা বলতেই হয়।


২) ঘরের কাজ করা নারী-পুরুষ নির্বিশেষে উভয়ের সমান দায়িত্ব হলেও, নারীদেরকেই এর ভার বহন করতে হয়। পুরুষ শাসিত সমাজের আয়েশী পুরুষ ঘরের বয়স্ক সদস্যের মুখে ওষুধটি পর্যন্ত তুলে দিতে অক্ষম। 


৩) পুরুষেরা ঘরের কাজে দিনে মাত্র ১ দশমিক ৬ ঘণ্টা (প্রায়) সময় ব্যয় করেন, অথচ নারীদের এই কাজে সময় যায় ১১ দশমিক ৭ ঘণ্টা প্রায়। 


৪) অথচ, শত প্রতিবন্ধকতা পেরিয়ে একজন নারী উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ করলেও, তাকে চাকরী করার জন্য সেই পুরুষেরই সম্মতির প্রয়োজন হয়। 


৫) আমাদের সমাজে নারী হলো পুরুষের মালিকানায় দাসী ভিন্ন আর কিছু নয়। হোক তা পিতার ঘরে, কিম্বা স্বামীর।


সুতরাং, শুধু নারীরাই কেনো ঘর-বাহিরে সর্বত্র রেসের ঘোড়ার মতো দৌড়া-দৌড়ি করবে? ঘরের লক্ষী ঘর সামলাতে চাইবে এটাই স্বাভাবিক।


মাননীয় স্পীকার,


৬) “জন্মলগ্ন থেকেই সমাজ নারীকে শেখায়- ঘর সামলানোটা মেয়েদের দায়িত্ব।


৭) একবিংশ শতাব্দীর এই ক্ষণেও সমাজের শিক্ষিত-অশিক্ষিত প্রায় সকল পুরুষ মনে করে- ঘরের কাজে ছেলেদের হাত দেওয়াটা লজ্জার বিষয়, ঘরের কাজ করলে তাদের মূল্যায়ন কমে যাবে। 


৮) আশপাশে তাকালেই দেখতে পাওয়া যায়, বেশিরভাগ দম্পতির পুরুষ সঙ্গীটি অনেক বেশি স্বৈরাচারী। আমার জীবনেও এমন কেউ কি আসতে পারে? শঙ্কা থেকেই যায়।


৯) পুরুষের সাথে পাল্লা দিয়ে একজন কর্মজীবী নারী যখন বাড়ি ফিরে দেখে- তার পুরুষ সঙ্গীটি সোফায় বসে টিভি সিরিয়াল দেখছে, ফ্রেশ হবার আগেই তাকে রান্না ঘরে ঢুকতে হয় চায়ের কাপ হাতে। আমার প্রশ্ন- এই যখন সার্বিক অবস্থা, কেনো যাবে নারী ঘর ফেলে দাপ্তরিক কাজে?


মাননীয় স্পীকার,


১০) সমাজের প্রতিটি স্তরে অর্থ ভাণ্ডারের চাবী থাকে পুরুষের হাতে। 

১১) একজন কর্মজীবী নারী মাস শেষে যেই অর্থ হাতে পায়, সেই অর্থ তার বাবা অথবা স্বামীর হাতেই তুলে দিতে হয় শেষ পর্যন্ত।


১২) কিন্তু এই অর্থ ব্যয়ের অধিকার কি আছে সেই নারীর? নারীর রক্ত জল করা পয়সায় পুরুষ আয়েশ করে, অথচ- নারী তার ব্যক্তিগত চাহিদা পুরণে অর্থ চাইতে গেলে তাকে নানা রকম প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়।


১৩) বাংলাদেশের নারীরা পুরুষের চেয়ে বেশি স্মার্ট ফোন ও ইন্টারনেট ব্যবহার করছে। একবারও কি ভেবে দেখেছেন- কয়জন নারীর স্মার্টফোন কেনার সামর্থ্য রয়েছে? আসলে তারা পিতার বা স্বামীর মোবাইলেই একাউন্ট খুলে ইন্টারনেট ব্যবহার করছে। আর ফেক নারীর কথা তো বলবোই না।


১৪) প্রায় প্রতিটি ধর্মগ্রন্থে নারীকে গৃহে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ঘরের বাইরে থাকা নারীকে লোকেরা কি নামে সম্বোধন করে- সে বিষয়ে কম-বেশি সকলেরই জানায় রয়েছে।


মাননীয় স্পীকার,


১৫) আর তাই- পরিশেষে বলবো, যেই দেশে নারীকে নিজের আয় করা অর্থ ব্যয় করতে হলে- তার হিসাব যখন পুরুষকে দিতে হয়, সে দেশের নারীদের ঘর সামলানোই উচিৎ।


মাননীয় স্পীকার, আপনাকে ধন্যবাদ।

-

নিপু-নিপা

১৫-৮-২৩


কোন মন্তব্য নেই